প্রকাশিত হল গুলজারের ‘গুলিস্তান-এ-গুলজারিশ’

Gulzar flanked by Sandip Ray and Sankha GhoshGulzar flanked by Sandip Ray and Sankha Ghosh
ফারুক আহমেদ

Gulzar during the release of his books at Nandan

কোলকাতা : গতকাল নন্দন ১ প্রেক্ষাগৃহে গুলজার-এর দুটি বই প্লুটো ও পান্তাভাতে প্রকাশ করলেন শঙ্খ ঘোষ ও সন্দীপ রায়। গুলজার-এর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু মৈত্র ও শ্রীজাত। এর পাশাপাশি ছিলেন গুলজার-এর দুটি বই পান্তাভাতে ও প্লুটো এর লেখক সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় ও শেখ সদর নইম। নন্দন ১ প্রেক্ষাগৃহে শনিবার এই আয়োজন সকলকেই মুগ্ধ করে। বই দুটি প্রকাশ করেছে দে-জ পাবলিশিং। গুলজার-কে নিয়ে একটি প্রদর্শনী চলবে আজ নন্দন ৪-এ  চারটে থেকে আটটা পর্যন্ত। সুধাংশু শেখর দে দে’জ পাবলিশিং আর সৃঞ্জয় বোস সম্পাদক, সংবাদ প্রতিদিন এর নিবেদনে গুলজার-কে বাংলার মানুষ নতুন ভাবে কাছে পেল।

সংস্কৃত দফতর এর প্রধান সচিব বিবেক কুমার রাজ্য সরকার এর পক্ষ থেকে গুলজার-এর হাতে সম্মান তুলে দিলেন। নন্দন এর পক্ষ থেকেও সম্মান প্রদান করা হয়।

কবি, লেখক, গীতকার, চলচ্চিত্র নির্মিতা এবং সংলাপ লেখক গুলজার বিরল প্রতিভা। ভারতীয় চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের জগতে এক বিশাল উচ্চাসনে তিনি বিরাজ করেন। বহু ভাষায় রচিত তাঁর লেখা পাঠকে মুগ্ধ করে। পোখরাজ, ত্রিবেণী সহ কয়েকটি কাব্য সংকলন পাঠককে গভীর ভাবে ভাবায় ও দাগ কাটে।

গুলজার ২০ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন, সাতবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারেও তাঁকে ভূষিত করা হয়। তিনি সম্মানিত হন পদ্মভূষণ

The cover of the books

পুরস্কারেও। ২০০৮ সালে তাঁর গান ‘জয় হো’র জন্য অস্কার  পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১০ সালে তিনি পান গ্র্যামি সম্মানও পান।

২০১৪ সালে ভারত সরকার গুলজার সাহেবকে চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে প্রদান করে।
এই মহান মানুষকে কাছ থেকে ও ছুঁয়ে দেখার বহু শখ ছিল আমার, দির্ঘদিন ধরে। শেখ সদর নইম সাহেবকে বলেছিলাম একটা বই লিখুন গুলজার-কে নিয়ে আমি উদার আকাশ থেকে প্রকাশ করব। এই আশা এখনও রাখি কখনও কেউ গুলজার-জিকে নিয়ে বই লিখলে আমি প্রকাশ করব।
গুলজার-এর বই প্রকাশ ও কবিতা পাঠ ও আলোচনার এই বিশাল আয়োজনে আমিও আমন্ত্রিত ছিলাম। বিশেষ করে আমি কৃতজ্ঞ দে’জ পাবলিশিং এর অপু দে এবং প্লুটো কবিতা বইয়ের বাংলাতে ভাষান্তর করেছেন যিনি সেই লেখক শেখ সদর নইম-এর কাছে। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অশেষ ভাবে আমি মুগ্ধ ও কৃতার্থ হয়েছি। অতিথি আসনে প্রথম সারিতে গুলজার-জি যখন নন্দনের প্রেক্ষাগৃহে বসে ছিলেন, আমি তখন তাঁর কাছে গিয়ে (প্রথম ভাগ্যবান) তাঁর প্লুটো বইয়ে একটা অটোগ্রাফ নিতে পেরেছি। তাঁকে প্রনাম করে ছুঁয়েও দেখেছি। আমার মতো আগত বহু অতিথিরা খুব খুশি হয়েছেন। আয়োজকদেরকে অফুরন্ত ধন্যবাদ জানাই বই প্রকাশ এর পাশাপাশি গুলজার-জির মুখে কবিতা পাঠ ও আলোচনার আয়োজন করার জন্য।

ফারুক আহমেদ

(লেখক  কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালযের দূর শিক্ষা বিভাগের সহ অধিকর্তা ও ‘উদার আকাশ’  পত্রিকার সম্পাদক)
Share the news