ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা জানাচ্ছেন তাঁদের বক্তব্য। বলছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। এরপর দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া সম্ভব কিনা, তা বিবেচনা করছেন বিচারক। ইতিমধ্যেই চলতি মে মাসের ৭, ১২ ও ১৫ তারিখে রানাঘাট মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্ট এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সেশন জজ এই ভাবেই কয়েকজন অভিযুক্তর জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। এ মাসের আগামী আগামী উনিশ তারিখে আরো জামিনের শুনানি হবে।
রানাঘাট মহকুমা আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর শুভেন্দু চ্যাটার্জী জানালেন, ‘আদালতের নির্ধারিত চারটি তারিখের মধ্যে জামিনের জন্য আবেদনের ফাইল জমা দিতে পারেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। ঐ নিৰ্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কোন কোন মামলার শুনানি হবে, তা ঠিক করা হচ্ছে। সেইদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনছেন বিচারক। সেইসঙ্গে সরকারপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সরকার পক্ষের বক্তব্য আমার কাছ থেকে শুনছেন বিচারক। এরপর অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে তিনি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন বিচারক।এর ফলে সুবিধা হয়েছে সবারই। জামিনের আবেদন করে অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে আর অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে না।
লকডাউন সত্ত্বেও বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রানাঘাট বার এসোসিয়েশন।