সুলগ্না দত্ত
রানাঘাট, মে ১৫: বিয়ে হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু তাতে কী? নিজের দেশকে কি ভোলা যায়? বিশেষকরে, বিপদজনক করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যখন দেশের মানুষ একসাথে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ন ।
না, পাপড়ি প্রামানিক ভোলেননি। নদীয়ার রানাঘাটে তাঁর জন্মস্থানের দুস্থ মানুষরা রয়েছেন কতটা দুর্দশার মধ্যে, তা তিনি জেনেছিলেন ভাই বাচ্চু কুন্ডুর কাছে। আর তা জানার পরই আমেরিকায় বসেই তাঁদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো আমেরিকা থেকেই তিনি ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছেন প্রয়োজনীয় টাকা। আর সেই টাকা দিয়েই লোকডাউনে বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য কেনা হয়েছে চাল, ডাল, সোয়াবিন, তেল, লবন আলু সহ আরও অন্যান্য সামগ্রী।
শুক্রবার রানাঘাটের চৌরঙ্গী মোড়ে বাচ্চু কুন্ডুর চশমার দোকানের সামনে বেশ কয়েকজন দুস্থ -গরিব মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল সেইসব খাদ্য সামগ্রী। প্রথমে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর তপতী বসু, সমাজসেবী দেবতোষ চ্যাটার্জী। বাকিটা তুলে দিয়েছেন পাপড়ির ভাই বাচ্চু কুন্ডু। তিনি জানিয়েছেন, ‘দিদির বিয়ের পর আমেরিকায় চলে গেলেও রানাঘাটকে ভোলেনি। লকডাউনে বিপর্যস্ত রানাঘাটের আর্থিক দুর্বল মানুষদের ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল আমার কাছে। নিজেই উদ্যোগী হয়ে টাকা পাঠিয়ে আমাকে বলেছিল যা কিছু প্রয়োজন তা কিনে ওদের হাতে তুলে দিতে। সেই টাকা দিয়েই আজ খাদ্যসামগ্রী কিনে বিপদগ্রস্ত মানুষদের হাতে তুলে দিলাম”।