– সঞ্জিত দত্ত
স্বপ্ন দেখা শুরু শতবর্ষ আগে বৃটিশ যুগে। দেশ শাসনের প্রয়োজনে মাকড়শা জালের মত সারা দেশে রেলপথ ছড়িয়ে দিয়েছিল শাসক বৃটিশ সরকার। বৃটিশের কাছে যা ছিল সাম্রাজ্য রক্ষার প্রয়োজন স্থানীয় মানুষের কাছে সামাজিক প্রয়োজন। দ্রুত স্থানান্তরে যাওয়ারও হাতিয়ার। শতবর্ষ আগে দেখা স্বপ্ন আজ বাস্তব প্রয়োজনেই দাবিতে পরিণত হয়েছে। কৃষ্ণনগর করিমপুর পথে রেলপথের দাবি তাই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
নদীয়ার পলাশী থেকে ইংরেজদের শাসন ক্ষমতা দখলের যাত্রা শুরু। রেল সাম্রাজ্য বিস্তারেও নদীয়া ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। ১৮৪৫ সালে সেন্ট্রাল বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে ভাগীরথী গঙ্গার তীর বরাবর মুর্শিদাবাদ অবধি রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা করে । ১৫ লক্ষ টাকার ফান্ড সংগ্রহের পরও কোন কারণে তা বাস্তবায়িত হয় না । এর ১৫ বছর বাদে ১৮৬০ সালে কাজ শুরু করে ১৮৬২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কলকাতা থেকে রাণাঘাট হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১১১ মাইল রেলপথ চালু করে। ১৮৯৯ সালে রাণাঘাট ছোটবাজার ঘাট থেকে শান্তিপুর হয়ে কৃষ্ণনগর মার্টিন রেল (ছোট রেল) চালু হয়। ১৯০৫ সালে রাণাঘাট লালগোলা পথে বড় রেল চলাচল শুরু হয়ে যায়। এই সময়ই কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর হয়ে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ছোটরেল (ন্যারোগেজ) চালানোর পরিকল্পনা করা হয়।
কৃষ্ণনগর করিমপুর পথে এইজন্য প্রথম সার্ভে হয় ১৯০৫ সালে। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের ইঞ্জিনীয়ার ক্যাপ্টেন সি এল ম্যাগনিয়াক (Captain C. L. Magniac) এবং মিঃ রেডিস (Mr. Radice) এই সার্ভের নেতৃত্ব দেন।স্পেশাল অফিসার ম্যাগনিয়াক প্রযুক্তিগত বা টেকনিক্যাল দিকটি এবং মিঃ রেডিস রেলের সম্ভাব্য আয় বা আর্ণিং এর দিকটির সমীক্ষা করেন। মোট ৫৬ মাইল ১০ চেইন দূরত্বের এই পথের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয় ₹১৭,৭৬,৮২৬। কৃষ্ণনগর এবং মেহেরপুরের লোকসংখ্যা বাদ দিয়ে গ্রামীণ এলাকায় প্রতি বর্গ মাইলে লোকসংখ্যা ছিল ৪৩৪ জন। গড়ে প্রতি দুই মাইলে একটি স্টেশন নির্মাণের কথা ভাবা হয়। ঠিক হয় মোট ২৬ টি স্টেশন হবে তার মধ্যে ২০টি স্টেশন হবে অল্প দূরত্বের।
১৯১০ সালে নদীয়া ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড এর সিদ্ধান্ত [Under Act III, 1883 (B.C)] এবং সুপারিশ মোতাবেক মেসার্স এইচ.ভি.লো অ্যান্ড কোং (Messes H.V. Low & Co., 12 Dalhousie Square ,Calcutta) দ্বিতীয় সার্ভে করে। এবার নতুন সাত মাইলের আর একটি পথ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নদীয়া (নবদ্বীপ ঘাট/স্বরূপগঞ্জ) থেকে কৃষ্ণনগর ৭ মাইল এবং কৃষ্ণনগর জলঙ্গী ৫৬ মাইল ১০ চেইন পথে পুনঃমূল্যায়িত সমীক্ষার ব্যয় বরাদ্দ (Revised Estimates) তৈরি করা হয়।
নদীয়া ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মিঃ ইজেকেল এবং ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনীয়ার এর সঙ্গে আলোচনা করে ২০ এপ্রিল ১৯১০ মেসার্স এইচ.ভি.লো অ্যান্ড কোং’র প্রতিনিধি প্যাটিনসন (Pattinson) ও শুব্রিজ (Shoobridge) নতুন সার্ভে রিপোর্ট জমা দেন। এবার স্টেশন সংখ্যা ২৬ থেকে কমিয়ে ৩টি ফ্ল্যাগ স্টেশনসহ মোট ১২টি স্টেশন নির্মানের কথা বলা হয়। সেগুলি হল কৃষ্ণনগর জংশন স্টেশনের পর গোয়াড়ী, দৈয়েরবাজার, বাঙালঝি, আলফা, বৈদ্যনাথতলা, দরিয়াপুর, মেহেরপুর, কাথুলা (কাঁঠালিয়া?), মহেশপুর, তারাপুর, জলঙ্গী। কৃষ্ণনগর নবদ্বীপঘাট পথে হরিশপুর, মহেশগঞ্জ , নবদ্বীপঘাট স্টেশনের প্রস্তাব দেওয়া হয় । কৃষ্ণনগর জলঙ্গী রেলপথের জন্য এবার ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে ধরা হয় ₹১৭,৫৬,৩৭৬। প্রতি মাইলে পূর্বের হিসাবকৃত ৩৩,৯০০/- আনুমানিক ব্যয় কমে দাঁড়ায় ₹৩১,০৬১/-। মোট ৬৩ মাইল রেলপথের কাজ ১০ মাসের মধ্যে শেষ করা হবে বলে ধরা হয়।
কৃষ্ণনগর নবদ্বীপঘাট পথে ছোটরেল ১৯২৬ সালে চালু হয়ে যায়। কিন্ত কৃষ্ণনগর জলঙ্গী পথে কোন কাজ হয়না। ত্রিশের দশকে এসে জেলা বোর্ডের সঙ্গে কিছু বিষয়ে ঐক্যমত না হওয়ায় কাজে আপত্তি উঠে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে যাওয়া, দেশভাগ, উদ্বাস্তু আগমন নানা প্রতিকূল অবস্থায় কাজ থমকে যায়। স্বাধীনতার পর পর কৃষ্ণনগর করিমপুর রেলপথের দাবি জোরালো হয়। কিন্তু দেশভাগের ফলে বৃটিশ যুগের সমীক্ষার বৈদ্যনাথতলা, দরিয়াপুর, মেহেরপুর স্থানগুলি পাকিস্তানে পড়ে যায়। ফলে আবার অর্থনৈতিক সমীক্ষা করা হয়। কিন্তু সমীক্ষা শেষ হলেও রেলপথ হয় নি। শুধু মাত্র কৃষ্ণনগর জংশন স্টেশন থেকে করিমপুর লালরঙের একটি রেল কাম বাস চালু করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো হয় । করিমপুর শিয়ালদহ পথে এক টিকিটেই বাস এবং ট্রেনে যাতায়াতের সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় এতে।
ষাটের দশকে আবার আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। এই সময় পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় একদিকে সীমান্ত অন্যদিকে নদী নালা খালবিল ইত্যাদির নানা সমস্যার অজুহাত দেখনো হতে থাকে। এই সময় বেথুয়াডহরী দিয়ে করিমপুর রেলপথ নির্মানের প্রস্তাব আসে কোন কোন মহল থেকে। কিন্তু, প্রস্তাব বাস্তবায়িত হওয়ার কোন উদ্যোগই দেখা যায় নি।
১৯৭২ সালে নদীয়া জেলার সমস্ত বিধায়কগণ সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষ্ণনগর করিমপুর রেলপথের দাবিতে লিখিতভাবে তৎকালীন রেলমন্ত্রীকে দাবিপত্র পেশ করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দল সংগঠনের পক্ষ থেকে দিল্লির দরবারে একই দাবি জানানো হতে থাকে। আশির দশকে একসময় রেলমন্ত্রী এ.বি.এ গণি খান চৌধুরী নদীয়ায় এসে এক জনসভায় আশ্বাস দেন রেল লাইন হবেই এবং তা বাদকুল্লা থেকে কৃষ্ণনগর-দোগাছি হয়ে করিমপুর যাবে। কিন্তু কোন কাজই হয়নি।১৯৮৪ সালের ১৮ অক্টোবর করিমপুরের বিধায়ক অরবিন্দ মণ্ডল-এর ণেতৃত্বে ২৫ হাজার মানুষের গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিপত্র পেশ করা হয় রেলমন্ত্রী এ.বি.এ গণি খান চৌধুরীকে।
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কৃষ্ণনগর রেলওয়ে যাত্রী সমিতির পক্ষ থেকে কয়েক হাজার মানুষের গণস্বাক্ষরসহ দাবিপত্র রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়। এই সময় দেবগ্রাম বা পলাশী থেকে তেহট্ট-বেতাই হয়ে করিমপুর রেলপথ নির্মান হতে পারে বলে বাজারে গুঞ্জন উঠে।
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ২০০ জন যুবকর্মী রেলপথের দাবিতে কৃষ্ণনগর – করিমপুর পদযাত্রা করেন । ২০০০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় রেল বাজেটে নতুন করে কৃষ্ণনগর–করিমপুর রেলপথের সমীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০০০ সালের ৩১ মার্চ করিমপুরের ভারতী মণ্ডলের নেতৃত্বে ৭০০০ মানুষের গণস্বাক্ষরিত চিঠি রেলমন্ত্রীকে দেওয়া হয়।
ঐ বছর অর্থাৎ ২০০০ সালের ১৩ নভেম্বর রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর স্টেশনের রেল ইয়ার্ডে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের শিলান্যাস করে বলেন,”কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের সমীক্ষার কাজ চলছে”। যদিও কয়েকদিন পরেই শিলান্যাসের পাথর ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ২৯ ডিসেম্বর ২০০০ কেন্দ্রীয় সার ও রাসায়ন মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় করিমপুর বাসস্ট্যান্ডে এক জনসভায় জানান – কৃষ্ণনগর করিমপুর পথে খুব শীঘ্রই সার্ভের কাজ শুরু হবে।
২০০২-২০০৩ সালের রেল বাজেটে কালীনারায়ণপুর-কৃষ্ণনগর ডবল লাইন, শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর ন্যারোগেজের গেজ ডাইভারশন প্রকল্পের সঙ্গে কৃষ্ণনগর-করিমপুর পথে চারাতলা (চাপড়া থানা, ১৩ কিমি) পর্যন্ত সমীক্ষার কাজকে যুক্ত করা হয় (Pink Book Item No 31/2002-2003)।
কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের জন্য শেষ সমীক্ষা হয় ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে। শেষ সমীক্ষায় রেলপথটি ধুবুলিয়া স্টেশন থেকে শুরুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ধুবুলিয়া স্টেশন থেকে সিংহাটি, নতুন নওপাড়া স্টেশন হয়ে চারাতলা পৌঁছাবে । সিংহাটি , নতুন নওপাড়া, চারাতলা এই তিনটি রেল স্টেশন ছাড়াও ধুবুলিয়া-মুড়াগাছা সড়ক, ৩৪ নং জাতীয় সড়ক এবং কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে অন্তত তিনটি লেভেল ক্রশিং ও জলঙ্গী নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের প্রয়োজন হবে।
২০০৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনের দ্বিজেন্দ্রলাল উদ্যানে কৃষ্ণনগর রেলওয়ে যাত্রী সমিতির উদ্যোগে ‘শতবর্ষ উদযাপন’ (রাণাঘাট লালগোলা লাইন চালুর শতবর্ষ এবং কৃষ্ণনগর-করিমপুর-জলঙ্গী রেল সমীক্ষার শতবর্ষ) উৎসবে চাপড়া থেকে করিমপুর-এর শিল্পী সাহিত্যিকরা ছন্দে গানে কবিতায় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের শুধুই সমীক্ষা আর উপেক্ষার শতবর্ষের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যান।
১৯০৫ সালে বৃটিশদের প্রথম সমীক্ষার সময় থেকেই প্রশাসনিক যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি এলাকার জনসংখ্যা, কৃষিপণ্যের গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করা হয়। একশ বছর পরে সেই প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। এলাকার ধান, পাট, পান, কলা, সবজি চাষ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাপড়া, তেহট্ট, করিমপুর,থানারপাড়া, মুরুটিয়া, হোগলবেড়িয়া থানা এলাকা রেল মানচিত্রের বাইরেই রয়ে গেছে।
একশ বছরে লোকসংখ্যা এবং জন বসতির ঘনত্ব বেড়েছে তিনগুণের বেশি। সমগ্র অঞ্চল একমাত্র সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল । সেখনেও অনিশ্চয়তা, সময় নষ্ট ও বাড়তি অর্থ ব্যয় শিরপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসার জন্য মানুষকে ৮০ থেকে ১০০ কিমি দূরে কৃষ্ণনগর অথবা বহরমপূর ছুটতে হয়। কলকাতায় যেতে হলে ২০০ কিমি পথের অর্ধেক রাস্তাই মোটর গাড়িতে সওয়ার হতে হয়। মজার বিষয় হল সেই ১৯০৫ সাল থেকে একশ বছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত এই রেলপথ নিয়ে শুধুই সার্ভে বা সমীক্ষাই হয়ে চলেছে, যা ভারতবর্ষের রেল ইতিহাসে একটি রেকর্ড।
সম্প্রতি দুটি বিষয় সীমান্তবাসীদের নতুন করে আন্দোলনে নামতে উদ্বুদ্ধ করেছে। করিমপুর পাবলিক লাইব্রেরীর সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক গ্রন্থে প্রকাশিত ‘করিমপুর: পথের বাঁকে বাঁকে’ নিবন্ধ এবং মুর্শিদাবাদে দৌলতাবাদে ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় অর্ধ-শতাধিক বাসযাত্রীর মৃত্যু, যার মধ্যে করিমপুর এলাকার ১৭ জন ছিলেন। গভীর শোক ক্রমে সমাধানের দাবির পথে মানুষকে একজোট করে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে আন্দোলনের রূপ পাল্টেছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে চেনা অচেনা সব মানুষকে আহবান জানানো হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা দেশে বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে । ‘করিমপুর ওয়ান্টস রেলওয়ে’ নামে দলমত বাছ বিচার না করে পান্নাদেবী কলেজে মিলিত হয়ে সুদৃঢ আন্দোলন গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। শুধু করিমপুর বা নদীয়াবাসী নন মুর্শিদাবাদকেও এতে সামিল করা হচ্ছে। তাইতো এখন আর শুধু কৃষ্ণনগর করিমপুর নয় , দাবি উঠেছে ‘কৃষ্ণনগর-বহরমপূর ভায়া করিমপুর’ রেলপথের।
লেখক পরিচিতি: সঞ্জিত দত্ত প্রাক্তন গ্রন্থাগারকর্মী।নিবাস কৃষ্ণনগর , নদীয়া । সংবাদ সাপ্তাহিক “গ্রাম গ্রামান্তর” পত্রিকার ২৫ বছর অবৈতনিক সম্পাদক ছিলেন । সম্পাদনা করেছেন ‘তীরন্দাজ নাট্যপত্র’, ‘রঙ বেরঙের আড্ডা’। নিত্য রেল যাত্রী হিসাবে রেল চর্চা সঞ্জিত বাবুর প্রিয় বিষয়। লিখেছেন “সংবাদ প্রতিদিন”, “কালান্তর”, “এশিয়ান এজ” দৈনিকে । নদীয়া তথা স্থানীয় ইতিহাস চর্চার কাজে নিয়োজিত । প্রকাশিত গ্রন্থ ঃ ‘মায়াপুরঃ অতীত ও বর্তমান’ , ‘অঞ্জনা নদী তীরে ‘, ‘ফুলডোরে বাঁধা নদীয়া ও রবীন্দ্রনাথ’ , সম্পাদিত গ্রন্থ ‘সেতার’, ‘অ-শোক জীবন তিন ভুবন’, ‘কবিতার অলিন্দে জীবনের আলাপনে’, যুগ্ম গ্রন্থনাঃ ‘কৃষ্ণনগর সহায়িকা ও একনজরে নদীয়া’ (সহ লেখক গৌতম ধনী ); ‘ভারতীয় রেলের দেড়শো বছরঃ একটি সফর’ (১৮৫৩-২০০২)(সহ লেখক বিশ্বজিত দাস)।